একটি ঘরে প্রবেশ করা মাত্র যে বিষয়টি সবচাইতে আগে চোখে পড়ে তা হচ্ছে সে ঘরের ফ্লোর বা মেঝে।
বাড়ি খুব সুন্দর সাজিয়ে রেখেছেন কিন্তু ঘরের মেঝে অপরিষ্কার। তাহলে কি রকম দেখায় ?
ঝকঝকে মেঝে পুরো বাড়িটার সৌন্দর্য বহন করে।
তাই আপনার মেঝে মার্বেলের, সিরামিকের , কাঠ যা-ই হোক না কেন, সেই মেঝে হওয়া চাই খুব ঝকঝকে পরিষ্কার।
মেঝে যদি অপরিচ্ছন্ন হয় তাহলে তা ঘরের সৌন্দর্য অনেকাংশে কমিয়ে দেয়। তাই সবার আগে দরকার পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন বাথরুম।
সকলের বাড়িতেই রোজ মেঝে মোছা হয়, তাতে কি মেঝে পুরোপুরি পরিষ্কার হচ্ছে। আবার সবার বাড়ির মেঝে এক নয়। আপনি কি জানেন আপনার ঘরের মেঝে সঠিক উপায়ে পরিষ্কার হচ্ছে কি না ?
তাই বিভিন্ন ধরণের মেঝে কীভাবে পরিষ্কার করবেন তা জেনে নিন। How to clean different floor
মার্বেল ফ্লোর
মার্বেলের মেঝে আপনার রুচিকে সকলের সামনে তুলে ধরার এক দারুণ উপায়।
এই প্রাকৃতিক চকচকে পাথরটি কেবল আপনার ঘরের সাজসজ্জাকে উন্নত করে শুধু তাই নয়, গ্রীষ্মের সময় এটি আপনার ঘরকে ঠান্ডাও রাখে।
তবে, অন্যান প্রাকৃতিক পাথরের মতো, মার্বেলেরও দাগ এবং ক্ষয়ের ঝুঁকি রয়েছে।
তাই মার্বেলের মেঝে যেমন তেমন উপায়ে পরিষ্কার করা চলবে না। এর জন্য অবলম্বন করতে হবে বিশেষ পন্থা।
নিচে দেওয়া কয়েকটি ধাপে মার্বেলের মেঝে পরিষ্কার করলে খুব সহজেই আপনি এটির সঠিক যত্ন নিতে পারবেন।
প্রথম ধাপ :
মেঝে মোছার আগে এর উপর ছড়িয়ে থাকা আলগা ধুলো ময়লা ভালো করে ঝাড়ু দিয়ে পরিষ্কার করে নিন।
দ্বিতীয় ধাপ:
এবারে মেঝে মোছার জন্য একটি বিশেষ ফ্লোর ক্লিনার সল্যুশন তৈরী করে নিন।
চিন্তার কিছু নেই। খুব সহজলোভ্য দুটি উপাদানের মাধ্যমেই এই দ্রবণ বা সল্যুশনটি বানাতে পারবেন।
এর জন্য এক বালতি গরম জলে 3 টেবিল চামচ বেকিং সোডার সাথে 2 ফোঁটা ডিশ ওয়াশিং লিকুইড মিশিয়ে নিন।
ভালোভাবে মেশান। তাহলেই তৈরী আপনার দ্রবণ বা সল্যুশনটি।
তৃতীয় ধাপ:
বালতির জল ফেনা ফেনা হলে, ওই জলে একটা পরিষ্কার স্পঞ্জ বা সুতির কাপড় ডোবান এবং সেটা দিয়ে ভালোভাবে মেঝেটা ঘষুন।
মেঝেতে জমে থাকা ময়লা সরাতে পরিষ্কার জলে বারবার স্পঞ্জ বা কাপড়টি ধুয়ে নেবেন।
তাহলে এটি সহজেই বাকি ময়লা শুষে নিতে পারবে।
চতুর্থ ধাপ:
সমস্ত ময়লা এই ভাবে দূর হয়ে গেলে এবং আপনার মার্বেলের মেঝে প্রায় পরিষ্কার হয়ে যাবে।
মার্বেলের মেঝেতে জল থাকলে খুব পিচ্ছিল ভাব হয়ে যায়।
তাই অতিরিক্ত জল বের করতে শুকনো কাপড়ের টুকরো নিন এবং মেঝে ভালোভাবে পরিষ্কার করুন।
এতে খুব তাড়াতাড়ি পরিষ্কারও হবে ও শুকিয়েও যাবে।
পরের বার যখন আপনার মার্বেলের মেঝে আপনি পরিষ্কার করতে চাইবেন, এই সহজ পদ্ধতিটি ব্যবহার করে দেখুন।
এটা সত্যিই কার্যকর।
সাবধানতা:
মার্বেলের মেঝে প্রাকৃতিক পাথর , তাই এটি পরিষ্কার করতে ভিনেগার বা এমনকি লেবুর রস ব্যবহার করবেন না।
এই উপাদানগুলি অ্যাসিড প্রকৃতির যা ফলে মার্বেলের ক্ষতি করতে পারে।
তার বদলে বাজারে ভালো কোম্পানির উচ্চ মানের মার্বেল ফ্লোর ক্লিনার পাওয়া যায়। আপনি সেইগুলি প্রয়োগ করে দেখতে পারেন।
সিরামিক মেঝে
সিরামিক মেঝে দু রকমের পাওয়া যায় - গ্লেজ্ড এবং আনগ্লেজ্ড।
গ্লেজ্ড সিরামিক মেঝের সারফেসে কাঁচের একটা প্রলেপ থাকে, যেটা এটাকে মসৃণ ও টেকসই বানায় এবং রক্ষণাবেক্ষণও খুব সহজ।
যার ফলে এর উপরে সহজে ধুলো ময়লা জমে এবং পরিষ্কার করাও কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।
প্রথম ধাপ:
এই ধরনের জিনিস পরিষ্কার করা পরিশ্রমের বলে, আপনার একটা কড়া, কার্যকর ক্লিনিং সল্যুশন তৈরী করতে হবে।
এর জন্য একটি বালতির 3/4 ভাগ জল দিয়ে ভর্তি করুন; এবং তার মধ্যে ১ কাপ ভিনিগার এবং ২ চা চামচ ডিশওয়াশিং লিক্যুইড মিশিয়ে দিন।
এবার একটা কাঠের চামচ বা একটা পরিষ্কার ন্যাকড়া দিয়ে দ্রবণটা নাড়ুন।
এই কাজটি করার সময় অবসসই করে রাবারের গ্লাভ্স হাতে পরবেন।
দ্বিতীয় ধাপ:
ফ্লোর ক্লিনিং প্যাড জলে ভিজিয়ে আপনার সেরামিক মেঝে ঘষুন।
মেঝে খুব ভালো করে ঘষলে এটা উপরের হালকা ধুলো ময়লা ও জঞ্জাল দূর করবে।
তৃতীয় ধাপ:
এরপর একটা পরিষ্কার কাপড় নিন এবং ক্লিনিং সল্যুশনে সেটা ভেজান।
এবার সেই কাপড় দিয়ে সিরামিকের টাইলস পরিষ্কার করা শুরু করুন এবং নিশ্চিত করুন যে আপনি পুরো মেঝের জায়গাটা কভার করেছেন।
এই ক্লিনিং সল্যুশন জেদি দাগ ও ছাতা পড়া দাগও দূর করবে।
মোছার সময় যতবার ন্যাকড়াটা কালো ও ময়লা হবে, ততবার এটা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন আর পুনরায় সেটা সল্যুশনে ভিজিয়ে পরিষ্কার করুন।
চতুর্থ ধাপ:
দাগছোপগুলো কড়া হলে বা সহজে না ওঠে, তাহলে ১০-১৫ মিনিটের জন্যে টাইলসের ওপর ক্লিনিং সল্যুশন মাখিয়ে রেখে দিন।
এটা দাগছোপগুলো নরম করে তুলে ফেলবে।
পঞ্চম ধাপ:
এই সল্যুশন দিয়ে পুরো জায়গাটা পরিষ্কার করা হয়ে গেলে, অন্য একটা পরিষ্কার কাপড় ব্যবহার করে মেঝে মুছে ফেলুন।
এর পর ফ্যান চালিয়ে মেঝে শুকিয়ে ফেলুন।
এই পদ্ধতি আপনার আনগ্লেজ্ড সিরামিকের মেঝেকে পরিষ্কার করার সাথে সাথে ঝলমলে করে তুলবে।
আরো পড়ুনঃ বাড়ি ঘর পরিষ্কার করার অসাধারণ টিপস
উডেন ফ্লোর বা কাঠের মেঝে
উডেন ফ্লোরের যত্নে একটু বেশিই যত্নবান হতে হবে। এর পেছনে ঝক্কিটাও কম নয়।
প্রথমে উডেন ফ্লোর ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে।
তারপর ওয়্যাক্স অ্যাপ্লিকেটর যা দেখতে মপের মতোন এর সাহায্যে উড ফ্লোর ক্লিনার লাগিয়ে কয়েক মিনিট অপেক্ষা করুন, তারপর ক্লিনার শুকনা কাপড় দিয়ে মুছে ফেলুন।
ভিনিগারের মিশ্রণ
ভিনেগার ও জল একসঙ্গে মিশিয়ে ফ্লোর ক্লিনার হিসেবে ব্যবহার করুন।
সরাসরি উডেন ফ্লোরে এই মিশ্রণ ব্যবহার করবেন না।
এই মিশ্রণে স্পঞ্জ বা তোয়ালে ভিজিয়ে নিংড়ে নিয়ে মেঝে পরিষ্কার করুন।
পরিষ্কার করার পর দেখবেন আপনার কাঠের মেঝেটি কেমন ঝকঝকে হয়ে গেছে।
চায়ের মিশ্রণ
এ ছাড়াও টি-ব্যাগ জলে ভালো করে ফুটিয়ে সেই মিশ্রণ দিয়ে উডেন ফ্লোর পরিষ্কার করতে পারেন, তাতে ঝকঝকে হবে।
ভিনিগার ও তেলের মিশ্রণ
কাঠের ফ্লোর ঝকঝকে রাখার জন্য হোয়াইট ভিনিগার ও ভেজিটেবল অয়েল একসঙ্গে মিশিয়েও ব্যবহার করতে পারেন।
টাইলসের মেঝে
টাইলসের ধরন অনুযায়ী যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। এখন বিভিন্ন নকশা বা ডিজাইন করা টাইলসের ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এই টাইলসের মেঝে পরিষ্কার রাখার জন্য সপ্তাহে অন্তত একদিন ঘরোয়া উপায়ে হালকা গরম জলে ভিনেগার মিশিয়ে নিতে ঘর মুছতে পারেন।
এতে টাইলসের উজ্জ্বলতা বজায় থাকে। ঘর রোগ-জীবাণুমুক্ত থাকে। বিশেষ করে বাথরুমের মেঝে পরিষ্কার রাখতে এই পদ্ধতি প্রয়োগ করে দেখতে পারেন।
আর প্রতিদিন স্বাভাবিক তাপমাত্রার জল দিয়েই মুছে পরিষ্কার রাখতে হবে টাইলসের মেঝে।
শুরুতেই কিন্তু টাইলসে কোনো ময়লা জমে না।
দীর্ঘদিনের ব্যবহারে এতে দাগ পড়ে যায়, কিংবা টাইলসের ফাঁকে কালো দাগ বসে যায়।
টাইলসের মেঝে পরিষ্কারের সময় এর জোড়াগুলোর কোণা ভালো করে পরিষ্কার করতে হবে।
বেকিং সোডা দিয়ে পরিষ্কার
টাইলসের কঠিন দাগ দূর করার জন্য বেকিং সোডার সাহায্য নিতে পারেন। এক্ষেত্রে একটি পাত্রে বেকিং সোডা ও গরম জল মিশিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে নিন।
এরপর এই পেস্ট সেই দাগের উপর লাগিয়ে পুরনো টুথব্রাশ দিয়ে ঘষে নিন। এতে কোনার ময়লা পরিষ্কারে সুবিধা হবে।
১০ মিনিট এই ভাবে রেখে গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
দেখবেন টাইলসের বর্ডারের দাগ গুলো আর নেই। আর এই ভাবে আপনি ঘরের টাইলস ঝকঝকে সাদা করে নিতে পারবেন।
ডিটারজেন্ট সল্যুশন
যদি বেশি অপরিষ্কার মনে হয় তাহলে জলের সাথে ডিটারজেন্ট মিশিয়ে মেঝে পরিষ্কার করতে হবে।
টাইলসের হলদে দাগ ও চিট ময়লা দূর করতে
টাইলসে অনেক সময় হলদে দাগ ও চিট ময়লা দেখতে পাওয়া যায়।
এর জন্য এক বালতি জলে চার ভাগের এক ভাগ পরিমাণ এমোনিয়া মিশিয়ে নিন।
এবার এই মিশ্রণে কাপড় ভিজিয়ে টাইলস মুছে নিন। এতে টাইলসে লেগে থাকে হলদে দাগ ও ময়লা দূর হবে।
এই ধরণের দাগ দূর করতে এমোনিয়া ভালো কাজ করে আর মেঝে দ্রুত চকচকে করে তুলতেও এর জুড়ি মেলা ভার।
মেঝে পরিষ্কার করার পর শুকনো কাপড় দিয়ে মুছবেন।
তাহলে শুকনো হলেও মেঝেতে জলের শুকনো দাগ থাকবে না।
ঘর মোছা হয়ে গেলে ফ্যান ছেড়ে জল শুকিয়ে নিন। নয়তো টাইলসের কোণে জল জমে স্যাঁতসেঁতে হয়ে থাকতে পারে।
সিমেন্টের মেঝে
বেশিরভাগ বাড়িতে এখনও সিমেন্টের মেঝে দেখা যায়।
সিমেন্টের মাঝে একটু অমসৃণ প্রকৃতির হয়, তাই সিমেন্টের মেঝে প্রতিদিন মোছা ভালো। সিমেন্টের মেঝে পরিষ্কার করার জন্য নিম্নলিখিত কাজগুলি করতে পারেন।
কেরোসিন তেল
সিমেন্টের মেঝে পরিষ্কারের সময় জলে একটু কেরোসিন মিশিয়ে পরিষ্কার করলে দেখতে চকচকে লাগে এবং মশা-মাছির উপদ্রবও কম হয় এতে।
কালো ছোপ দাগ দূর করতে
অনেক সময় সিমেন্টের মেঝেতে কালো ছোপ দাগ পড়তে দেখা যায়।
এই কালো দাগ দূর করতে হলে বাসন মাজার লিকুইড সাবান, জল ও ভিনেগার মিশিয়ে একটা মিশ্রণ তৈরি করুন।
তারপর এই মিশ্রণ কোনো স্প্রে বোতলে ভরে ভালো করে ঝাকিয়ে স্প্রে করে নিন।
মিশ্রণটি দাগের উপর স্প্রে করে কিছুক্ষন রেখে দিন। তারপর ভেজা কাপড় দিয়ে মুছে ফেলুন, দেখবেন কালো দাগ উঠে মেঝে পরিষ্কার ও ঝকঝকে হয়ে গেছে।
সিমেন্টের মেঝে জীবাণুমুক্ত রাখার জন্য জলের সঙ্গে ফিনাইল মিশিয়ে পরিষ্কার করতে হবে, তাতে মেঝে জীবাণুমুক্ত থাকবে।
সিমেন্টের মেঝে পরিষ্কার করার সময় সর্বদা নরম ও ঘন ব্রিসেল যুক্ত ঝাড়ু ব্যবহার করবেন।
ব্রিক ফ্লোর বা ইঁটের মেঝে
ব্রিক ফ্লোর অন্তত সপ্তাহে একবার পরিষ্কার করতে পারেন।
এর জন্য আপনি পছন্দের তিন ধরণের সল্যুশন তৈরী করে নিতে পারেন।
তবে সল্যুশন দিয়ে পরিষ্কার করার আগে ঝাড়ু দিয়ে ভালো করে উপরের ধুলো ময়লা পরিষ্কার করে নিতে হবে।
এবারে চলুন জেনে নিন কি ভাবে বানাবেন সল্যুশন -
প্রথম সল্যুশন :
১০ থেকে ১৫ ভাগ জলে ১ ভাগ ভিনিগার মিশিয়ে।
দ্বিতীয় সল্যুশন :
৪ লিটার জলে ২ টেবিল চামচ বোরাক্স পাউডার মিশিয়ে নিন।
তৃতীয় সল্যুশন :
৪ লিটার জলে ২-৩ টেবিল চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন।
এরপর যে কোনো একটি সল্যুশনে স্পঞ্জ বা কাপড় ভিজিয়ে একটু সেঁতসেঁতে করে মেঝে মুছে নিন।
সম্ভব হলে মাইক্রোফাইবার মপ ব্যবহার করবেন। কারণ মাইক্রোফাইবার মপ গুলি ইটের মেঝেগুলির রুক্ষ পৃষ্ঠে স্পঞ্জ মপগুলির চেয়ে অনেক বেশি ভালভাবে ধরে।
জেদী ময়লা তুলতে মাঝে মাঝে নাইলনের ব্রাশ ব্যবহার করতে পারেন।
মোছা হয়ে গেলে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে পরিষ্কার করে শুকিয়ে নিন।
ভিনাইলের মেঝে
ঘরের মেঝে যদি ভিনাইলের তৈরি হয়, তবে পরিষ্কার করার জন্য হালকা গরম জলে বোরাক্স পাউডার মিশিয়ে নিন।
এবার সেই মিশ্রণ দিয়ে ঘর মুছলে একদম ঝকঝক করবে।
TIPS:
মেঝে পরিষ্কারে কিছু গুরুত্ব পূর্ণ টিপস
মেঝেতে বসে তরকারি বা সবজি কাটার সময় পুরনো খবরের কাগজ বিছিয়ে নিন যাতে ময়লা সরাসরি মেঝেতে না পড়ে।
আর যদি তারপরও মেঝে অপরিচ্ছন্ন হয় তাহলে তা সাথে সাথে মুছে ফেলুন নাহলে দাগ পড়ে যাবে।
মেঝে পরিষ্কারের কাপড়, মপ ও অন্যান্য উপকরণ যেনো পরিষ্কার হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন নাহলে তা থেকে জীবাণু ছড়াতে পারে।
মেঝে পরিষ্কারের সময় হালকা আসবাবপত্র যতোটা পারা যায় সরিয়ে মুছতে হবে, অনেকদিন একই জায়গায় আসবাবপত্র থাকতে থাকতে মেঝেতে দাগ পড়ে ফ্যাকাশে হয়ে যায়।
মেঝে পরিষ্কারে ডিটারজেন্ট ব্যবহার না করে ভালো মানের ফ্লোর ক্লিনার ব্যবহার করা উচিত।
মেঝের টাইলসে অনেক ধুলোবালি জমে থাকে।
মোছার আগে ভ্যাকুয়াম ক্লিনার কিংবা ঝাড় দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে পারেন।
আসবাবের কোণে জমে থাকা ধুলাও এভাবে পরিষ্কার করতে পারেন।
কখনই গরম জল দিয়ে বাথরুমের মেঝে পরিস্কার করবেন না।
এতে বেসিন, কমোড ক্র্যাকড হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
কার্পেট পরিষ্কার করার জন্য বিশেষ ধরনের ব্রাশ ব্যবহার করুন।
ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে কার্পেট পরিষ্কার করতে পারেন।
অন্তত দুই সপ্তাহ অন্তর অন্তর কার্পেট পরিষ্কার করুন।
বাথরুমের পরিচ্ছন্নতা একটু বেশিই দরকার।
সেই অনুযায়ী টাইলসও পরিষ্কার রাখতে হবে। দেয়ালের টাইলস বা পাথর সুতি কাপড় ও ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার করে নিন।
মেঝেতে ডিটারজেন্ট কিংবা লিকুইড ক্লিনার দিয়ে সপ্তাহে অন্তত তিন দিন পরিষ্কার করুন।
0 Comments